তথ্য ফাঁসঃ দারোয়ানের জবানবন্দী!! ওই পোলাই মারছে ম্যাডামরে, রাত ৩ টায় ৫ জন ছেলে লইয়া বাসা থেকে বের হইছে!

তথ্য ফাঁসঃ দারোয়ানের জবানবন্দী!! ওই পোলাই মারছে ম্যাডামরে, রাত ৩ টায় ৫ জন ছেলে লইয়া বাসা থেকে বের হইছে..

নাটোরে শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া খুবজিপুর এম হক ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করা হয়েছে। শিক্ষিকা খাইরুন নাহার নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। অন্যদিকে, স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

নিহতের স্বামী নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন হোসেন বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য তিনি তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাড়ির বাহিরে যান। পথে জরুরি কথা বলার জন্য স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দেন। কিন্তু কলটি স্ত্রী খায়রুন নাহার রিসিভ করেনি। পরে তিনি স্ত্রীকে আরো কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল করেন। এতেও ফোন রিসিভ না হলে স্বামী মামুন বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর দরজা খুলে ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে অন্য ঘরে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে। পরে গ্যাস লাইট দিয়ে ওড়না পুড়িয়ে তার স্ত্রীকে নিচে নামিয়ে বাড়ির কেয়ারটেকারকে ডাক দেন। এরপর পুলিশকে জানানো হয়।

নাটোর পুলিশ তদন্ত ব্যুরোর পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত হলে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কি! এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মামুন হেসেনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ যুগান্তরকে বলেছেন, ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট এ হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলাটিই তখন হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে। আর তাদের বাসায় যেহেতু অন্য কেউ ছিল না এবং তার স্বামী মামুন অনেক অসংলগ্ন কথা বলায় তাকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।

নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মোসলেম উদ্দিন সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের পুলিশ পরিদর্শক নজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে উভয় পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জানা গেছে, খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর বেগম রোকেয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে মাধ্যমিক এবং স্থানীয় শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। পরের বছর দর্শন বিষয়ে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন রাজশাহী কলেজে। সেখানেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সহপাঠী রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানী পান্নাপাড়ার সহপাঠী জহুরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে। পরে তাকেই বিয়ে করেন খায়রুন নাহার।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবলু পান্নাপাড়া আব্দুর রহমান (বিএম) কারিগরি কলেজের শিক্ষক। এখন পর্যন্ত তার বেতন চালু হয়নি। তাদের সংসারে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া ১৭ বছরের একটি ছেলে এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সাত বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। বেতন না হওয়ায় কলেজ শিক্ষক স্বামী জহুরুল ইসলাম বাবলু রডমিস্ত্রির কাজ করার

Leave a Comment